বুকের বাম পাশ'টায় যখন চিনচিনে ব্যথা থাকে; সেই মুহুর্তে কারো কথা'ই ভাল্লাগে নাহ। ঘুমাতে ভালো লাগে নাহ, হাসতে ভালো লাগে নাহ; শুধু মন চায় প্রাণ ভরে কাঁদি।
কাঁদতে কাঁদতে চোখের সবটুকু পানি ফুরিয়ে ফেলি! যাতে কোনো 'অনুভূতি' নামক শব্দ'টা আর বুকের মাঝে বাসা বেঁধে, ব্যথার সৃষ্টি না করতে পারে।
জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যে সময়ে কারো সাথে অকারণেই কথা বলতে বিরক্ত লাগে; সবার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যেতে ইচ্ছা করে। মনে হয়, কোথায় গেলে যেন শান্তি পাবো! কিন্তু আফসোস শান্তিপূর্ণ সেই জায়গাটার দেখা মেলে নাহ।
কিছু মুহুর্ত আছে; যখন না চাইতেও চোখ থেকে কারণে অকারণে পানি গাল গড়িয়ে পড়ে। চোখের সেই পানি নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে নাহ। জীবনে যখন তিক্ততা নেমে আসে; তখন বাবা-মা, ভাই-বোন আত্নীয়স্বজন'কেও বিষের মত লাগে। একা-একা অন্ধকার রুমে ডুবে থেকে মন ভরে কান্না করতে ভীষণ ইচ্ছা করে। কিন্তু একটা মানুষ কান্না করতে করতে, যখন চোখের সবটুকু পানি ফুরিয়ে ফেলে তখন সেই মানুষটি'ই একসময় হয়ে উঠে অনুভুতিহীন হিংস্র মানব। তখন সবকিছু থেকে হারাতে ইচ্ছা করে, পালাতে ইচ্ছা করে! কিন্তু তবুও কিসের জানি পিছুটান। মুক্তি মেলে নাহ কষ্ট থেকে; মুক্তি মেলে না মস্তিষ্কে বাসা বাঁধা নিয়ন্ত্রণহীন চিন্তাদের হাত থেকে।
শুধুই ভুগতে হয়, এই ভোগান্তির শেষ'টা খুঁজতে খুঁজতে ভেতর'টা রক্তাক্ত হয়ে যায়, দিনের পর দিন। তবুও মেলে না একটু আলোর দেখা। জীবনের সকল সমস্যা যখন চেপে ধরে একসাথে, তখন নিজের অসহায়ত্ব, একটা মানুষকে অকেজো করে ফেলে।
মানুষটা না পারে বাঁচতে আর না পারে মরতে। তবুও মানুষ'টা প্রতিটা দিন সবকিছু থেকে মুক্তি পাবার আশায়, নতুন একটা পথ খুঁজতে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন